স্টাফ রিপোটার্স ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাগরদীঘি চৌরাস্তায় সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করে এলাকাবাসী। শতশত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সড়কের একপাশে অবস্থান নেয়। এ সময় চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের নেতৃত্বে কিছু লোকজন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে বাধা দেয়। এ নিয়ে এক পর্যায় তারা মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীদের উপর হামলা চালায়।ওই সময় দুই পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়। পুলিশের উপস্থিতেই দুই পক্ষে মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষের দাবী এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। এক পর্যায় উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করে। সে সময় তিনি দৌড়ে স্থানীয় এক দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পুলিশ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে। এরপরও দুই পক্ষের লোকজন দুই পাশে অবস্থান নেয়। পরে দুপুরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আতঙ্কে সংঘর্ষের সময় বাজারের সব দোকান বন্ধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
সাগরদিঘি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিন্নত আলী বলেন, চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে চেয়ারম্যান বহিরাগত লোকজন নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এতে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থির সৃষ্টি হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ জামায়াত, বিএনপির লোকদের সঙ্গে নিয়ে আমাকে হেয় করার জন্য মাঝে মধ্যেই আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। ইতিমধ্যে তারা আমার বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। তারা আজকেও মানববন্ধনের আয়োজন করলে আমার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় ৫ টি মোটরসাইকেল।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে । যারা বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে, তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply