আলী হোসেন- স্টাফ রিপোটারঃ
মন্তব্যের কারনে গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি কলেজ শিক্ষিকা অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার ও কলেজ শিক্ষার্থী মামুনের অসম প্রেমের তরী। বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মাথায় তছনছ হয়ে যায় সাজানো প্রেমের সংসার। পারিবারিক কলহ না কি ব্যক্তিগত কারনে আত্মহত্যা করেছে কলেজ শিক্ষিকা এ প্রশ্নে এখন সবার মাথায়।
পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের মধ্যে নানান কৌতুহল জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন মানুষের নেগেটিভ মন্তব্য আবার কেউ কেউ মনে দুই পরিবারেরর মধ্যে বন্ধনের অভাবে মানসিক ডিপ্রেশনের কারনে এ আত্মহত্যার কারন।প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে পুলিশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত। নাটোর শহরের বালারীপাড়ায় ভাড়া বাসা থেকে খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে প্রশ্ন উঠেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খাইরুন নাহারের স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
প্রতিবেশী ও শিক্ষিকার আত্মীয়-স্বজনদের কেউ কেউ দাবি করছেন- এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। শনিবার রাতে মামুন কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাসার পাহারাদার মো. নিজামুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় ঢোকেন মামুন। আবার রাত আড়াইটার দিকে বের হন। কেন বের হচ্ছেন- জানতে চাইলে মামুন বলেন,ওষুধ কিনতে যাচ্ছি।পরে সকাল ৬টার দিকে মামুন আবার ফেরেন।’
নিজামুদ্দিন বলেন, ‘বাসায় ফেরার পর মামুন আমাকে ডাকেন। আমি চার তলায় গিয়ে দেখি, খাইরুন নাহারের লাশ ঘরের মেঝেতে।’
এদিকে শিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের হোসেন বলেন, ‘সকালে একটা ফোন আসে, আমার বোন নাকি আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনেই গুরুদাসপুর থেকে নাটোরে আসি। এসে দেখি, বোনের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। মরদেহের গলায় বেশ কিছু দাগ। মনে হচ্ছে, ঘটনাটি আত্নহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামেরর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে এক ছেলের জননী খায়রুন নাহারের ডিভোর্স হয়েছিল আগের স্বামীর সঙ্গে। পরে ছয় মাসের প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর আজ ভোরে ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।