রায়পুরা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে উত্তরা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থেমে থাকা তিনটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারের অন্তত ১৫ জন আহত হলেও তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। আজ সোমবার দুপুরে রায়পুরার মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা উত্তরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে বাসটি মরজাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কাউন্টারের সামনে পৌঁছার পর থামতে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ব্রেক কাজ না করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি না থেমে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ব্যক্তিগত গাড়িটির পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে একপাশে সরে যায়। এ সময় উত্তরা পরিবহনের বাসটি না থেমে সামনে থাকা সাদ্দাম পরিবহন নামের আরেকটি যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দেয়। এ সময় উত্তরা পরিবহনের বাসটির কাঁচসহ সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। অন্যদিকে ধাক্কা খাওয়া সাদ্দাম পরিবহনের বাসটি সামনে থাকা আরেকটি লোকাল বাসকে ধাক্কা দেয়। এই দুর্ঘটনায় তিনটি বাস ও একটি ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রী এবং স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে সড়কের পাশে ফলের ব্যবসা করেন, এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে ভৈরব হাইওয়ে থানায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ব্যক্তিগত গাড়িটির চালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আমি গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা ছিলাম। বাসের হঠাৎ ধাক্কায় আমার গাড়ির পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ভেতরে অবস্থান করা কয়েকজন যাত্রী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের কোথাও নেওয়া হয়েছে জানিনা। অল্পের জন্য আমরা বেঁচে গেলাম।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক নূর মিয়া জানান, উত্তরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে প্রাইভেটকারকে পরে আরেকটি বাসকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে ওই বাসটি আরেকটি লোকাল বাসকে ধাক্কা দেয়। এই এক দুর্ঘটনায় মোট চারটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অধিকাংশ আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্তত পাঁচজন আহত ব্যক্তিকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়।