নরসিংদী প্রতিনিধি:
প্রবাসীদের বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি উল্লেখ করে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, অভিবাসনকে যেমন নিরাপদ করতে হবে তেমনি বিদেশ-ফেরত মানুষের পাশেও দাঁড়াতে হবে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এই কাজগুলো করার চেষ্টা করছে। সরকারের নানা দপ্তরেরও অনেক সেবা দেওয়া হচ্ছে।সরকার-বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে এই কাজগুলো এগিয়ে নিতে হবে।আজ (০৮ জুলাই) সোমবার দুপুরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বলেন‘আমাদের প্রবাসীরা মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে থাকেন সেখানে তারা নাগরিকত্ব তো দূরের কথা স্থায়ীভাবে থাকার ও অনুমতি পান না। তাদের সবাইকে দেশে ফিরতে হয়। কেউ অর্থ নিয়ে ফেরেন কেউবা বেদনা নিয়ে ফেরেন খালি হাতে। সব প্রবাসীদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে আমাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’ নরসিংদীতে বিদেশ-ফেরতদের জন্য ব্র্যাকের কাজের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নরসিংদীকে প্রবাসী বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবাশ্বের আলম আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজল-ই-খুদা,নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফারহানা আহমেদ,আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো: জামাল হোসেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস, নরসিংদীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ নাবিলা নুঝাত, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মো. মোখলেছুর রহমান,জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, জেলা প্রশাসককের কার্যালয়ের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান পাটোয়ারী, ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচির ম্যানেজার আতিকুর রহমান নাহিদ, শেখ মোহাম্মদ সালেহ্ রাব্বী, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ মিজানুর রহমান, মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিইন্ট্রিগ্রেশন সাপোর্ট সেন্টারসহ নরসিংদীতে কর্মরত ব্র্যাকের বিভিন্ন প্রোগ্রামের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলার সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব, প্রবাস বন্ধু ফোরাম সদস্য ও বিদেশ ফেরত অভিবাসী।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবাশ্বের আলম আলম বলেন, ‘ব্র্যাক আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদেরকে দেশে ফেরত আসার পরে সহযোগিতা করে সরকারের কাজ সহজ করছে। আমরা নানাভাবে তাদের পাশে থাকতে চাই। তবে বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদেরকে দক্ষ হতে হবে।’
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘প্রবাসীদের অবদানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রবাসীরা শুধু টাকা পাঠানোর যন্ত্র না। তাদের বিপদে পাশে থাকতে হবে। এ কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে বিদেশ-ফেরতদের জন্য প্রত্যাশা-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সবাই মিলে আমাদের এই বিদেশ-ফেরত মানুষদের পাশে থাকতে হবে।