স্টাফ রিপের্টান :- নরসিংদীর বেলাবতে গত ১৬/১১/২০২২ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেলাব উপজেলা শাখার সভাপতি সারোয়ার হোসেন অপু ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকের নেতৃত্বে সংঘঠিত সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, সরকারী মালামাল বিনষ্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণনাশের চেষ্টা ছিলো পূর্ব-পরিকল্পিত বলে দাবী করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর আসাদ-উজ-জামান। তাই তিনি নিজে বাদী হয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সারোয়ার হেসেন অপু, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তৌফিকসহ ৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে অভিযুক্ত করে বেলাব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে তিনি আরও উল্ল্যেখ করেন অপু তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে হাসপাতালে অতর্কিতভাবে হামলা করে ৫টি সিসি ক্যামেরার তার কেটে ফেলে, জানালার গ্লাস ভাংচুর করে, কেচি গেইটের গ্রিল, তালাসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট করে হাসপাতালে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাণনাশের চেষ্টা করে। এতে হাসপাতাল অঙ্গনে একটি অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হলে চিকিৎসা প্রদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। এই অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পর হাসপাতালে কর্তব্যরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘঠনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম। এসময় সিভিল সার্জনের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ ও স্বাচিব নরসিংদী শাখার সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সাজেদুল হক অপু। বিএমএ ও স্বাচিব নরসিংদী শাখার সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হক কমল বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় আগামীকাল (শুক্রবার) আসবেন। তিনি এসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন। তবে আমরা সরকারের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করি। আমাদের নিরাপদ কর্মস্থল প্রয়োজন। এরকম নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করা কঠিন। তাই আশা রাখবো মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সেই নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দিবেন। গত ১৬/১১/২০২২ইং তারিখে এঘটনা ঘটার পরপরই হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে নির্বাক মানববন্ধন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন এর অনুরোধক্রমে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সচল রাখা হয়। কিন্তু হাসপাতাল বহিঃবিভাগের সেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অভিযোগের বিষয়ে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভির আহমেদ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু অভিযোগপত্রে আসামীদের তথ্য বাকী থাকায় মামলা রুজু করা হয়নি। তবে অভিযোগপত্রের সকল তথ্য উপাত্ত সংশোধন করে দেওয়ার পর আমরা মামলা রুজু করবো।
Leave a Reply