হাওয়া ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে আর আমি দেখেছি, প্রকাশিত ট্রেইলার নিয়েই লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের সাথে হবে কথোপকথন , কয়েক দিন আগে ‘হাওয়া’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে এনে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন । কথা ছিল গত রোববার বহুল প্রতিক্ষীত ‘হাওয়া’র ট্রেইলার প্রকাশ করা হবে। কিন্তু শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণে স্থগিত করা হয়েছে হাওয়ার ট্রেইলার। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ‘হাওয়া’র শুটিং হয় কিন্তু এই সিনেমাটি অনেক দেরীতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এর কারন হলো করোনাকালীন সময় তো আর ছবি চলানো যাবেনা তাই একটু অপেক্ষা করালো চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত হাওয়া । গভীর সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আটজন মাঝি মাল্লা ও এক রহস্যময় বেদেনী, যে কিনা কথা বলতে পারেনা মানে বোবা তার সাথেই মাঝিদের মাঝে একজনের প্রেম বা ভাব হয়ে যায় ।আর যে সকল জেলেরা মাছ ধরতে যায় তাদের মহাজন হলো চঞ্চল চৌধুরী।চঞ্চল চৌধুরী কিন্তু তার সিনেমায় একটা মজার ডায়লক রাখে যেমন আয়না বাজিতে রেখেছিলো বুজ নাই ব্যাপারটা। তো আসি ট্রেইলারে তাদের এই মাছ ধরার সময় কিছু অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটে যা ট্রেইলার দেখে বুজার উপায় নেই । আর এরকমই তো হওয়া উচিৎ ট্রেইলার যে ছবিতে কি ঘটবে তা নিয়ে দর্শকদের মাথায় ঘুরপাক খেতে হবে তাহলেই তো মানুষ হলে যাবে ।তো এ সকল বিষয় ঘিরে চলচ্চিত্রটির কাহিনী তৈরী হয়েছে।
আর এই ছবির সিনেমেট্রোগ্রাফি অসাধান হয়েছে কস্ক্রবাজার আর সেন্টমার্টিনে এই সিনেমার শুটিং করা হয়েছে যা দেখে চোখ জুড়ায় হলের বড় পর্দায় তো মনে হবে এটা কোন দেশের সীন ভাই? সাগরের মাঝ খানের শুটিং ক্যামেরার এঙ্গেল আর সাগরের নীচে পানির ভিতরের লাইটিং আর ভিজুয়্যাল সেই লেভেলের ।আর অভিনেতার মেকাপ খুবই রিয়্যালষ্টিক লেগেছে সকলকের চেহারাতে এমন কালার দিয়েছে যে এরা আসলেই জেলে কারনে রৌদ্রে পুড়ে এককজনের চেহার চকলেট কালার হয়ে গেছে । আর বোবা মেয়েটার চরিত্রটা রহস্য জনক ভাবে দেখানো হয়েছে, জানিনা কি হয়ে ছবিতে ।
এক কালের রূপকথার গল্পের উপর নির্ভর সিনেমাটি পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকেরা। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় এই সিনেমা নিয়ে কোন প্রচার প্রচোরনা করছেন না আসলে বর্তমান সময়ে ছবির প্রমোশন করা একটা ট্যান্ড হয়ে দাড়িয়েছে আগ দিন নাই যে আপনি ছবি ছেড়ে দিলেন আর চলতে থাকবে এখন মানুষ রিভিউ দেখে ট্রেইলার দেখে আকর্ষনীয় মনে হলেই হলে যায় তাই ছবিটির অোরো প্রচারনার দরকার ছিলো।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী ও সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, সুকর্ন সাহেদ ধীমান এবং জাহিন ফারুক আমিন।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড এবং নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন।
প্রযোজনা সংস্থা জানিয়েছে, ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটি দেশ ও দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে; শিগগিরই তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস।
চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক,সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।
https://www.youtube.com/watch?v=oWpoK88wDBA
Leave a Reply